দুই মাস পেরিয়ে গেলেও রাজশাহী মহানগর বিএনপির নতুন নেতৃত্বের দেখা মিলছে না। ২০২৫ সালের ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় বহুল প্রতীক্ষিত মহানগর বিএনপির সম্মেলন, যেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্মেলনের দিনই পুরনো আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলেও আজও গঠিত হয়নি নতুন কমিটি। ফলে বিভাগীয় এ গুরুত্বপূর্ণ নগর ইউনিটে সৃষ্টি হয়েছে স্পষ্ট নেতৃত্ব শূন্যতা ও সাংগঠনিক স্থবিরতা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, নেতৃত্ব বাছাইয়ে মতভেদ এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিলম্বে রাজশাহী মহানগর বিএনপি এখন কার্যত “নির্দেশনাবিহীন” অবস্থায় রয়েছে। এতে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
গত ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত সম্মেলনে রাজশাহী বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা যায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। সম্মেলন শেষে রাতে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুল হক মন্টু এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের নির্দেশে রাজশাহী মহানগর বিএনপির পুরনো আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। সেই সঙ্গে জানানো হয়, নতুন কমিটি ঘোষণার আগ পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম ও এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু দুই মাস কেটে গেলেও কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটির ঘোষণা আসেনি।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর এরশাদ আলী ঈশাকে আহ্বায়ক এবং মামুনুর রশিদকে সদস্যসচিব করে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। প্রায় তিন বছর ধরে তারা দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।
রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, “আমরা সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। খুব শিগগিরই নতুন কমিটি ঘোষণা হবে বলে আমি আশাবাদী। নতুন নেতৃত্ব এলে দলের কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আসবে।”
একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন মহানগর ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট। তার ভাষায়, “সম্মেলন শেষ হয়েছে, এখন কেন্দ্রীয় নেতারা যাচাই-বাছাই করছেন। সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য কমিটি শিগগিরই হবে বলে আমরা আশা করছি।”
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের সিদ্ধান্তেই নতুন কমিটি ঘোষণা হবে। কিছু সাংগঠনিক সমস্যা থাকলেও আমরা দলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
রাজশাহী মহানগর বিএনপির তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী জানান, আমরা এখন তাকিয়ে আছি কেন্দ্রের দিকে। তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, যোগ্য, গ্রহণযোগ্য ও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্ব শিগগিরই আসবে, যা সংগঠনকে নতুন করে প্রাণ দেবে এবং রাজশাহীতে বিএনপিকে পুনরায় সংগঠিত করবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি যদি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ফিরিয়ে আনতে না পারে, তবে রাজশাহীর মতো গুরুত্বপূর্ণ মহানগরীতে দলটির সাংগঠনিক ভিত্তি আরও দুর্বল হতে পারে।
সামাজিক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক আনোয়ার হোসেন ফিরোজ বলেন, “রাজশাহী বিএনপি ঐতিহ্যবাহীভাবে শক্তিশালী ইউনিট। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতা ও নেতৃত্বহীনতা তাদের কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করছে। দ্রুত সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত না নিলে এর প্রভাব জাতীয় রাজনীতিসহ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়তে পারে।”
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. সৈয়দ শাহিন শওকত বলেন, নেতৃত্ব শূন্যতা ও সাংগঠনিক স্থবিরতা নেই, কিছুটা সমস্যা হলেও দলীয় সকল কার্যক্রম সঠিকভাবেই হচ্ছে। তিনি বলেন, “সম্মেলন শেষ হয়েছে, এখন দলের ভারপ্রপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা যাচাই-বাছাই করছেন। আশা করছি শিগগিরই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীর সাথেই মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, নেতৃত্ব বাছাইয়ে মতভেদ এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিলম্বে রাজশাহী মহানগর বিএনপি এখন কার্যত “নির্দেশনাবিহীন” অবস্থায় রয়েছে। এতে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
গত ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত সম্মেলনে রাজশাহী বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা যায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। সম্মেলন শেষে রাতে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুল হক মন্টু এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের নির্দেশে রাজশাহী মহানগর বিএনপির পুরনো আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। সেই সঙ্গে জানানো হয়, নতুন কমিটি ঘোষণার আগ পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম ও এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু দুই মাস কেটে গেলেও কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটির ঘোষণা আসেনি।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর এরশাদ আলী ঈশাকে আহ্বায়ক এবং মামুনুর রশিদকে সদস্যসচিব করে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। প্রায় তিন বছর ধরে তারা দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।
রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, “আমরা সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। খুব শিগগিরই নতুন কমিটি ঘোষণা হবে বলে আমি আশাবাদী। নতুন নেতৃত্ব এলে দলের কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আসবে।”
একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন মহানগর ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট। তার ভাষায়, “সম্মেলন শেষ হয়েছে, এখন কেন্দ্রীয় নেতারা যাচাই-বাছাই করছেন। সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য কমিটি শিগগিরই হবে বলে আমরা আশা করছি।”
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের সিদ্ধান্তেই নতুন কমিটি ঘোষণা হবে। কিছু সাংগঠনিক সমস্যা থাকলেও আমরা দলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
রাজশাহী মহানগর বিএনপির তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী জানান, আমরা এখন তাকিয়ে আছি কেন্দ্রের দিকে। তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, যোগ্য, গ্রহণযোগ্য ও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্ব শিগগিরই আসবে, যা সংগঠনকে নতুন করে প্রাণ দেবে এবং রাজশাহীতে বিএনপিকে পুনরায় সংগঠিত করবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি যদি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ফিরিয়ে আনতে না পারে, তবে রাজশাহীর মতো গুরুত্বপূর্ণ মহানগরীতে দলটির সাংগঠনিক ভিত্তি আরও দুর্বল হতে পারে।
সামাজিক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক আনোয়ার হোসেন ফিরোজ বলেন, “রাজশাহী বিএনপি ঐতিহ্যবাহীভাবে শক্তিশালী ইউনিট। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতা ও নেতৃত্বহীনতা তাদের কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করছে। দ্রুত সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত না নিলে এর প্রভাব জাতীয় রাজনীতিসহ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়তে পারে।”
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. সৈয়দ শাহিন শওকত বলেন, নেতৃত্ব শূন্যতা ও সাংগঠনিক স্থবিরতা নেই, কিছুটা সমস্যা হলেও দলীয় সকল কার্যক্রম সঠিকভাবেই হচ্ছে। তিনি বলেন, “সম্মেলন শেষ হয়েছে, এখন দলের ভারপ্রপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা যাচাই-বাছাই করছেন। আশা করছি শিগগিরই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীর সাথেই মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হবে।